Header Ads Widget

Ticker

6/recent/ticker-posts

When was oxygen discovered? religions of the world

When was oxygen discovered? religions of the world

When was oxygen discovered?
= Seventeen seventy-two
When was it discovered that plants give out oxygen?
= Seventeen seventy-nine
When was it discovered that fire requires oxygen, to burn?
=Sixteen seventy-nine
Now tell me.
what would you say if I told you?
that all of this has been mentioned in the Quran fourteen hundred years ago.
The triangle of combustion includes heat, AIR, and fuel, and in the verse of Surah Yasin, it is told that the “green” plants help in combustion.
The green trees or green woods are not usually used to ignite, but the dry and hard wooden sticks are used for that purpose.
The green plants actually produce OXYGEN, which is needed for the ignition of Fire.

সূরা ইয়াসীন (يس), আয়াত: ৮০
اۨ لَّذِىْ جَعَلَ لَـكُمْ مِّنَ الشَّجَرِ الْاَخْضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنْـتُمْ مِّنْهُ تُوْقِدُوْنَ


উচ্চারণঃ আল্লাযী জা‘আলা লাকুম মিনাশশাজারিল আখদারি না-রান ফাইযা-আনতুম মিনহু তূকিদূন।

[It is] He who made for you from the green tree, fire, and then from it you ignite.

যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।

الَّذِیۡ جَعَلَ لَکُمۡ مِّنَ الشَّجَرِ الۡاَخۡضَرِ نَارًا فَاِذَاۤ اَنۡتُمۡ مِّنۡہُ تُوۡقِدُوۡنَ ﴿۸۰﴾

যিনি তোমাদের জন্য সবুজ গাছ হতে আগুন তৈরি করেছেন, অতঃপর তোমরা তাত্থেকে আগুন জ্বালাও। ৭৭-৮০ নং আয়াতের তাফসীর: মুজাহিদ (রঃ), ইকরামা (রঃ), উরওয়া ইবনে যুবায়ের (রঃ), সুদ্দী (রঃ) এবং কাতাদা (রঃ) বলেন যে, একদা অভিশপ্ত উবাই ইবনে খালফ একটি দুর্গন্ধময় পচা সড়া হাড় হাতে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে আসে। হাড়টির ক্ষুদ্রাংশগুলো বাতাসে উড়ছিল। এসে সে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে বলেঃ “বল তো, এগুলোতে আল্লাহ পুনর্জীবন দান করবেন?” উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেনঃ “হ্য। আল্লাহ তা'আলা তোমাকে ধ্বংস করবেন। এরপর তোমাকে তিনি পুনর্জীবিত করবেন এবং তোমার হাশর হবে জাহান্নামে। ঐ সময় এই সূরার শেষের আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়। অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, সড়া হাড়টি নিয়ে আগমনকারী লোকটি ছিল আসী ইবনে ওয়ায়েল। আর একটি বর্ণনায় আছে যে, এটা ছিল আবদুল্লাহ ইবনে উবাই এর ঘটনা। কিন্তু এতে চিন্তা-ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কেননা, এটা মক্কী সূরা। আর আবদুল্লাহ ইবনে উবাই তো ছিল মদীনায়। যাই হোক, এ আয়াতগুলো সাধারণভাবেই অবতীর্ণ হয়েছে। (আরবী)-এর উপর যে আলিফ-লাম রয়েছে তা জিনসী। যে কেউই পুনরুত্থানকে অস্বীকারকারী হবে তার জন্যেই এটা জবাব হবে। ভাবার্থ হলোঃ এ লোকগুলোর নিজেদের সৃষ্টির সূচনার প্রতি চিন্তা করা উচিত যে, তাদেরকে এক ঘৃণ্য ও তুচ্ছ শুক্রবিন্দু হতে সৃষ্টি করা হয়েছে। এর পূর্বে তো তাদের কোন অস্তিত্বই ছিল না। এর পরেও মহামহিমান্বিত আল্লাহর অসীম ক্ষমতাকে অস্বীকার করার কি অর্থ হতে পারে? মহান আল্লাহ এ বিষয়টিকে আরো বহু আয়াতে বর্ণনা করেছেন। যেমন এক জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি (শুক্র) হতে সৃষ্টি করিনি? অতঃপর আমি ওটাকে স্থাপন করি এক নিরাপদ আধারে।”(৭৭:২০-২১) অন্য এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “আমি তো মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে।”(৬৭:২) হযরত বিশর ইবনে জাহহাশ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, একদা রাসূলুল্লাহ (সঃ) স্বীয় হস্তে থুথু ফেলেন। অতঃপর তিনি তাতে অঙ্গুলী রেখে বলেন যে, আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ “হে আদম সন্তান! তোমরা কি আমাকেও অপারগ ও শক্তিহীন করতে পার? আমি তোমাদেরকে এরূপ (থুথুর মত তুচ্ছ)। জিনিস হতে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তোমাদেরকে ঠিক ঠাক করে দিয়েছি। তারপর তোমরা ভূ-পৃষ্ঠে চলাফেরা করতে শুরু করেছে এবং ধন-সম্পদ জমা করতে ও দরিদ্রদেরকে সাহায্যদানে বিরত রাখতে চলেছে। অতঃপর প্রাণ যখন কণ্ঠাগত হয়েছে তখন বলতে শুরু করেছেঃ “এখন আমি আমার মাল আল্লাহর পথে সাদকা করছি। কিন্তু এখন সাদকা করার সময় কোথায়?” মোটকথা, নিকৃষ্ট শুক্রবিন্দু হতে সৃষ্ট মানুষ যুক্তিবাদী হচ্ছে এবং পুনর্জীবনকে অস্বীকার করছে ও অসম্ভব বলছে। তারা এখন ঐ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর শক্তিকে অস্বীকার করছে যিনি আসমান, যমীন এবং সমস্ত মাখলুক সৃষ্টি করেছেন। যদি তারা চিন্তা করতো তবে এই আযীমুশশান মাখলুকের সৃষ্টি ছাড়াও নিজেদেরই জন্মলাভকে আল্লাহ তা'আলার দ্বিতীয়বার সৃষ্টি করার ক্ষমতার এক বড় নিদর্শনরূপে পেতো। কিন্তু তার জ্ঞান চক্ষুর উপর তো পর্দা পড়ে গেছে। মহান আল্লাহ স্বীয় নবী (সঃ)-কে বলেনঃ হে নবী (সঃ)! তুমি তাদেরকে বল- এই অস্থিতে প্রাণ সঞ্চার করবেন তিনিই যিনি এটা প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি প্রত্যেকটি সৃষ্টি সম্বন্ধে সম্যক পরিজ্ঞাত। মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে, একদা হযরত উকবা ইবনে আমর (রাঃ) হযরত হুযাইফা (রাঃ)-কে বলেনঃ “আপনি রাসূলুল্লাহ (সঃ) হতে শুনেছেন এমন কোন হাদীস আমাদেরকে শুনিয়ে দিন।” তখন হযরত হুযাইফা (রাঃ) বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “একটি লোকের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে সে তার ওয়ারিশদেরকে অসিয়ত করে যে, তারা যেন তার মৃত্যুর পর বহু কাঠ সংগ্রহ করে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং তাতে তার মৃত দেহকে পুড়িয়ে ভস্ম করে দেয়। তারপর যেন ঐ ভষ্ম সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়। তার কথামত ওয়ারিশরা তাই করে। এরপর আল্লাহ তাআলা যখন তার ভঙ্গুলো একত্রিত করতঃ তাকে পুনর্জীবন দান করেন তখন তাকে জিজ্ঞেস করেনঃ “তুমি কেন এরূপ করেছিলে?" সে উত্তরে বলেঃ “আপনার ভয়ে (আমি এরূপ করেছিলাম। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন। হযরত উকবা ইবনে আমর (রাঃ) তখন বলেনঃ “আমিও রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে এটা বলতে শুনেছি। পথ চলতে চলতে তিনি এটা বর্ণনা করেছিলেন।” (এ হাদীসটি ইমাম আহমাদ (রঃ) বর্ণনা করেছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) ও ইমাম মুসলিম (রঃ) তাদের সহীহ গ্রন্থে এটা তাখরীজ করেছেন) একটি রিওয়াইয়াতে আছে যে, লোকটি বলেছিলঃ “আমার ভষ্মগুলো বাতাসে উড়িয়ে দিবে। কিছু বাতাসে উড়াবে এবং কিছু সমুদ্রে ভাসিয়ে দিবে।” সমুদ্রে যতগুলো ভষ্ম ছিল সমুদ্র ওগুলো আল্লাহর নির্দেশক্রমে জমা করে দেয় এবং অনুরূপভাবে বাতাসও তা জমা করে। অতঃপর আল্লাহ পাকের ফরমান হিসেবে লোকটি জীবিতাবস্থায় দাড়িয়ে যায় (শেষ পর্যন্ত)। এরপর প্রবল পরাক্রান্ত আল্লাহ স্বীয় ক্ষমতার আরো নিদর্শন বর্ণনা করতে গিয়ে বলেনঃ তিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ হতে অগ্নি উৎপাদন করেন এবং তোমরা তা দ্বারা প্রজ্বলিত কর। প্রথমে এ গাছ ঠাণ্ডা ও সিক্ত ছিল। অতঃপর আমি ওকে শুকিয়ে দিয়ে তা হতে অগ্নি উৎপাদন করেছি। সুতরাং আমার কাছে কোন কিছুই ভারী ও শক্ত নয়। সিক্তকে শুষ্ক করা, শুষ্ককে সিক্ত করা, জীবিতকে মৃত করা এবং মৃতকে জীবিত করা প্রভৃতি সবকিছুরই ক্ষমতা আমার আছে। একথাও বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা মিরখ ও ইফার গাছকে বুঝানো হয়েছে যা হিজাযে জন্মে। ওর সবুজ শাখাগুলোকে পরস্পর ঘর্ষণ করলে চকমকির মত আগুন বের হয়। যেমন আরবে একটি বিখ্যাত প্রবাদ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেক গাছেই আগুন আছে এবং মিরখ ও ইফার মর্যাদা লাভ করেছে।” বিজ্ঞ ব্যক্তিদের উক্তি এই যে, আঙ্গুর গাছ ছাড়া সব গাছেই আগুন রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments